কারচুটির অভিযোগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন অবৈধ ঘোষণা করেছে আদালত। সেইসঙ্গে ডা. শাহাদাত হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে ১০ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) দুপুরে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ খাইরুল আমীনের আদালত এই রায় দেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আরশাদ হোসেন আসাদ জানান, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কারচুপির হওয়ায় ফলাফল বাতিল চেয়ে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের দায়ের করা মামলায় তাকে মেয়র ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ১০ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী তিন লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছিলেন। তবে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ১৯ আগস্ট সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন দেয় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।

২০২১ সালে এই সিটির নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির শাহাদাত হোসেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট পেয়েছিলেন। তবে নির্বাচনের পর তিনি ২৪ ফেব্রুয়ারি কারচুপির অভিযোগে চট্টগ্রাম প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের বিচারক খাইরুল আমিনের আদালতে নয় জনকে বিবাদী করে আদালতে মামলা করেন বিএনপির শাহাদাত। সেই মামলায় আজ তাকে মেয়র ঘোষণা করা হলো।

মামলার ৯ জন বিবাদী হলেন— আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচনী কর্মকর্তা, সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা, মেয়র প্রার্থী আবুল মনসুর, এম এ মতিন, খোকন চৌধুরী, ওয়াহেদ মুরাদ ও জান্নাতুল ইসলাম।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আরশাদ হোসেন আসাদ জানান, চসিকের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় আজ (মঙ্গলবার) তাঁকে মেয়র ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।